লিগের শেষ ম্যাচেও জয়হীন রিয়াল

লা লিগায় নিজেদের শেষ ম্যাচটা জিদান জয় দিয়েই শেষ করতে চেয়েছিলেন। পয়েন্ট টেবিলের জন্য না। চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালের জন্য। ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে ম্যাচটি রিয়ালের কাছে ছিল লিভারপুল ম্যাচের প্রস্তুতি। তাই সাঁজিয়ে-গুজিয়ে দল মাঠে নামিয়েছিলেন জিদান। শুরুর একাদশেই দলে রেখেছিলেন ইনজুরি থেকে ফেরা রোনালদো, ইসকো এবং কারভাজালকে। এছাড়া বেল খেলেছেন শুরু থেকেই। রোনালদো-বেল-ইসকোর প্রস্তুতিটা ভালো হলেও রিয়ালের প্রস্তুতি ভালো হলো না। জেতা ম্যাচে ২-২ গোলের সমতা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে জিদোনের শিষ্যদের।

প্রথমে রিয়াল অবশ্য দারুণ দুই গোল দিয়ে এগিয়ে যায়। কিন্তু গত জানুয়ারিতে শেষের দিকে গোল করে ভিয়ারিয়াল যেমন ১-০ গোলের জয় নিয়ে বার্নাব্যু ছেড়েছিল। এবার তেমনি ঘরের মাঠে শেষের দিকে দুই গোল করে সমতা নিয়ে মাঠ ছাড়ল। ভিয়ারিয়ালের জন্য চলতি মৌসুমটা খারাপ গেল না। পয়েন্ট টেবিলে পাঁচে থেকে লিগ শেষ করেছে। নিশ্চিত করেছে আগামী উইরোপা কাপ খেলা।

অন্যদিকে গতবারের লিগ জয়ী রিয়াল তিনে থেকে মৌসুম শেষ করলো। তার থেকে বড় কথা মৌসুমে এখন পর্যন্ত কোন শিরোপা না জেতা রিয়াল চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে লিভারপুলের মুখোমুখি হওয়ার আগে পূর্ণ শক্তির দল নিয়েও জয় নিশ্চিত করতে পারলো না।

ম্যাচের তিন মিনিটের মাথায় গোল করার প্রথম সুযোগ পায় ভিয়ারিয়াল। কিন্তু গোলবারের নিচে থাকা জিদানের ছেলে এনজো জিদানকে ফাঁকি দিতে পারিনি স্বাগতিকরা। তার আগেই রামোস বল বিপদ মুক্ত করেন। এরপর ম্যাচের ১১ মিনিটে দারুণ এক চাতুর্য দেখিয়ে বল ফাঁকায় নিয়ে নেয় বেল। তা থেকে দারুণ শটে গোলও করেন ওয়েলস ম্যান। এরপর ৩২ মিনিটে মার্সেলোর দুর্দান্ত এক ক্রস থেকে হেড দিয়ে ব্যবধান দ্বিগুন করেন রোনালদো।

শুরুর মতো দ্বিতীয়ার্ধেও দারুণ শুরু করে রিয়াল। দারুণ কিছু প্রতি আক্রমণ করে রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু গোলের দেখা পায়নি। এরপর ছোট ছোট পাসেও ত্রস্ত করে রাখে ভিয়ারিয়ালকে। স্বাগতিকরাও অবশ্য দারুণ গতি নিয়ে রিয়ালের বিপক্ষে খেলেছে। আর তার ফল  পেয়েছে ম্যাচের ৭০ মিনিটে। রদ্রি হার্নান্দেজের পাসে গোল করেন রদ্রিগেজ। বদলি নামার এক মিনিটের মাথায় গোলের ব্যবধান কমান তিনি।

এক গোল খাওয়ার পরও জয় দেখছিল রিয়াল। কিন্তু ইসকো-রোনালদো-রদ্রিগেজরা উঠে গেলে ম্যাচের গতি হারিয়ে ফেলে রিয়াল। বেনজেমা গোল করার কয়েকটা সুযোগ পেলেও ব্যবধান বাড়াতে পারেননি। তার শটে যেন সেই গতি কিংবা গোলরক্ষককে ফাঁকি দেওয়ার কারিশমা নেই। গোল মিস করা রিয়াল উল্টো ৮৫ মিনিটে গোল খেয়ে বসে। সামু ক্যাস্টিলেজো গোল করে ভিয়ারিয়ালকে সমতা এনে দেন। রিয়াল মাদ্রিদ চলতি মৌসুমে নিজেদের শেষ লা লিগা ম্যাচটিও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারলো না।

এ নিয়ে চলতি মৌসুমে রিয়াল ৩৮ ম্যাচে ২২ জয়ের পাশাপাশি ১০ ড্র এবং ৬ হার নিয়ে মৌসুম শেষ করলো। অন্যদিকে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে থাকা বার্সার হার মাত্র একটি। কাতালানরা ৯ ম্যাচ ড্র করেছে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা অ্যাথলেটিকোর হার ৫টি এবং ড্র ৯টি। দু’দলেরই লিগে এখনো একটি করে ম্যাচ বাকি আছে। সমান ম্যাচে চতুর্থ থাকা ভ্যালেন্সিয়ার হার ৯টি এবং ড্র ৭ ম্যাচে

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment